Some intelligence destroys people's lives.
![]() |
---|
Edit Canva
একজন মানুষের বুদ্ধি থাকা খুব প্রয়োজন। একজন মানুষ সবসময় তার কর্মজীবনে হোক, কিংবা তার পারিবারিক জীবনে বুদ্ধি দিয়ে কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। বুদ্ধিমান মানুষকে সবাই পছন্দ করে।
আমি দেখেছি কিছু মানুষ অতিরিক্ত বুদ্ধি খাটাতে গিয়ে। তাদের জীবনটাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। আজকে আমি আপনাদের সাথে এমনই একটা ঘটনা শেয়ার করতে চলেছি।
আমি ঘটনার স্থান এবং যেখানে ঘটেছে সে বিষয়টা গোপন রেখেই, ঘটনাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। |
---|
কিছু বুদ্ধি একটা মানুষের জীবনকে ধ্বংস করে দিতে যথেষ্ট |
---|
![]() |
---|
ঘটনাটা ঘটেছিল যখন তখন আমি খুব ছোট ছিলাম। আমি যখন ক্লাস ফাইভে পড়তাম। তখন আমার বাবার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল। উনাকে ঢাকায় একটা হসপিটালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এবং উনার অপারেশনের জন্য কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এবং আমার বাবা প্রায় এক মাস ওই হসপিটালে ভর্তি ছিলেন। এবং উনার অপারেশন সম্পন্ন হয়েছিল ওই হসপিটালে।
![]() |
---|
ওই হসপিটালে এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল। যেটা আসলে আমার বাবা এখনো ভুলতে পারেনি, ঘটনাটা খুবই ভয়ঙ্কর।
হসপিটালে কোন একটা বড় কাজ শুরু হলে। অনেক ডাক্তাররা মিলে সেটাকে সম্পন্ন করার চেষ্টা করে।
তেমনই একটা ছেলে সে ওয়ার্ড বয় ছিল। আমার বাবাকে সবসময় দেখাশোনা করত, ছেলেটা অত্যন্ত নম্র ভদ্র এবং অনেক বেশি বুদ্ধিমান ছিল।
একদিন হঠাৎ করেই হসপিটাল এর মধ্যে এমন একটা রোগী আসলো। যার মাথায় সে বলছিল প্রচন্ড ব্যথা। কি জানি ওজন তার মাথার মধ্যে বসে আছে। ডাক্তার অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারলেন। ওই ব্যক্তির মাথায় একটা ব্যাঙ বসে আছে। পুরো হসপিটালের মানুষ এ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করছিল।
আমি ঠিক জানিনা আপনারা আমার কথা কতটা বিশ্বাস করবেন। তবে যেটা সত্য সেটাই আমি আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
ডাক্তাররা অনেকটা অবাক হলেন। কিভাবে এই ব্যাঙ লোকটার মাথা থেকে বের করবে। আমি আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে বলে দিচ্ছি। আমাদের মাথার ভেতরে যে মগজ রয়েছে, সেখানেই ব্যাঙ টা বসা ছিল।
অনেক মিটিং বৈঠকের পরে একটা দিন নির্ধারণ করা হলো। লোকটার মাথা অপারেশন করা হবে। অপারেশন করতে গিয়ে ডাক্তার অনেকটা হয়রান হয়ে গেল। আসলে কিভাবে এটাকে ওখান থেকে বের করবে এই চিন্তায়।
![]() |
---|
আমি যেই ছেলেটার কথা একটু আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। সেই ছেলেটা ও ওই অপারেশনের রুমে উপস্থিত ছিল। সে যখন দেখল ডাক্তাররা হয়রান হয়ে গেছে। তখন সে নিজের বুদ্ধি কাজে লাগাতে শুরু করল।
সে একটা বড় প্লাস্টিকের বল নিলো। সে বলের মধ্যে পানি নিল পর্যাপ্ত পরিমাণে, এবং লোকটার মাথার কাছে গিয়ে পানির মধ্যে হাত দিয়ে ধীরে ধীরে পানি নাড়াতে শুরু করল। |
---|
পানির শব্দ পেয়ে ব্যাঙ টা ও অনেকটা উত্তেজিত হলো। প্রায় ২০ মিনিট ছেলেটা পানির মধ্যে নিজের দুই হাত দিয়ে শব্দ করেই যাচ্ছিল। হঠাৎ করেই ব্যাঙ টা পানির শব্দ পেয়ে, ওই প্লাস্টিকের বলের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ল। |
---|
এরপরে লোকটা নিরাপদ হল, এবং সঠিকভাবে অপারেশন করে লোকটাকে সুস্থ করা হলো।
কিন্তু ঐদিন হসপিটালে ঠিক কি ঘটেছিল। ঐদিনের পর থেকে ছেলেটাকে আর হসপিটালে দেখা যায়নি। কোথাও ছেলেটার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পরে আমার বাবা ছেলেটার খুব খোঁজ করছিল। যেহেতু ছেলেটা আমার বাবাকে খুব পছন্দ করত দেখাশোনা করতো সব সময়। আমার মা ও ছিল সেখানে, তবে ঔষধ আনা গরম পানি করা এগুলা ছেলেটাই করত।
তাই হয়তোবা ছেলেটার প্রতি আমার বাবার অসম্ভব একটা টান সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তীতে আমার বাবা যেদিন হসপিটাল থেকে বের হয়ে চলে আসবে। সেদিন কোন একটা লোকের মুখে জানতে পারলো। ঐদিন অপারেশনের পরে ছেলেটাকে ইনজেক্ট করে মেরে ফেলা হয়েছিল।
এই ঘটনা থেকে আমি বুঝতে পারলাম। মানুষ তার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে গিয়ে, নিজের জীবনটাই শেষ পর্যন্ত বিপদে ফেলে দেয়। |
---|
- এই ছিল আমার আজকের ঘটনা। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।
আজ আর লিখছি না। এ পর্যন্তই থাক। নতুন কোন টপিক নিয়ে আবারো হাজির হব আপনাদের মাঝে। সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এই কামনাই করছি।