Misuse of social media
![]() |
---|
আমরাআমাদের আবেগ চিন্তাধারা মনের বহিঃপ্রকাশ করার, একমাত্র অন্যতম জায়গা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যেটাকে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া বলে জেনে থাকি।
আমরা সবাই মিলে কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া, যে সকল ফ্লাটফর্ম গুলো রয়েছে,এগুলো ব্যবহার করি। ফেসবুক ব্যবহার করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আবার ইউটিউবে ভিডিও দেখেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আবার এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যাদের কিনা টুইটারে অ্যাকাউন্ট নেই। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যারা কিনা মেসেঞ্জার ব্যবহার করে না।
মাঝে মাঝে আমি লক্ষ্য করে দেখেছি, কিছু মানুষ আছে। এই সকল প্লাটফর্ম গুলোর অপব্যবহার করে। আদৌ কি আমাদের এ সকল প্লাটফর্ম গুলোর, অপব্যবহার করা ঠিক নাকি ভুল।
ভালো কাজ সবাই করতে পারে না। ভাল কাজ করা মানুষের মৌলিক একটা দায়িত্ব বলেও আমি মনে করি।আমিও যতটুকু পারি ভালো কাজ করার চেষ্টা করি। সমাজের অসহায় নিরীহ মানুষের পাশছ দাঁড়ানোর চেষ্টা করি।
সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার |
---|
![]() |
---|
সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটা ওপেন প্লাটফর্ম। সেখানে আপনি যেমন তেমন যে কোন কিছুই। আপনার ইচ্ছেমতো আপনি ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এই প্লাটফর্ম গুলোতে স্বাধীনতা আছে
আর এই স্বাধীনতার সুযোগ নিয়েই, অনেকেই এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে অপব্যবহার করছে।
আমরা ঘুম থেকে উঠেই আমাদের মোবাইলটা ওপেন করেই, ফেসবুকে ঢুকে যাই তারপর ঘন্টার পর ঘন্টা সেখানে কাটিয়ে দেই। কারো প্রেমিকা চলে গেছে আমরা সেই স্ট্যাটাস নিয়ে হাসাহাসি করি মজা করি।
এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মাধ্যমে, আমরা যেমন আমাদের জীবনের অগ্রগতি খুব তাড়াতাড়ি সম্ভব করতে পারছি। ঠিক তেমনি আমাদের জীবনের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে, নিঃসঙ্গতার অক্টোপাস এর মত।
এই সোশ্যাল মিডিয়াকে আমাদের জীবনের সঙ্গী করে, আমরা যেমন আমাদের ক্যারিয়ার গড়ার তাগিদে প্রতিদিন এগিয়ে যাচ্ছি। ঠিক তেমনি, আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মানবতা।
আমরা এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলোকে, এমন ভাবে নিজেদের সাথে জড়িয়ে নিয়েছি, আমরা নিজেদের পরিবার থেকে ধীরে ধীরে অনেক দূরে চলে যাচ্ছি। আমাদের স্কুল-কলেজের বন্ধু-বান্ধব গুলোকে, আমরা অনেকটা ভুলেই গেছি। নতুন সম্পর্কে আমরা জড়িত হচ্ছি।
সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারের মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যবহার হচ্ছে। মানুষ নিজের প্রকৃত পরিচয় লুকিয়ে রাখে, এবং ফেসবুকের মধ্যে খুব স্মার্ট একটা মানুষের ছবি দিয়ে, ফেক আইডি খুলে। এবং অন্য একটা মানুষের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
ওই মানুষটাকে নিজের প্রতি এমন ভাবে আকৃষ্ট করে। পরবর্তীতে নিজের স্বার্থের জন্য। সে মানুষটাকে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করে। সে মানুষটা কোন দিক বুঝতে না পেরে, তার ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে যায়।
আবার এমন কিছু মানুষ আছে। যারা নিজেদের স্বার্থের নেশায়, কিছু বাজে খবর সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। অনেকেই আবার সেই খবর গুলোকে সত্যি মনে করে।
আর এ সকল ঘটনা কে কেন্দ্র করেই, শুরু হচ্ছে সমাজে অস্থিরতা। সমাজ হয়ে উঠছে ভারসাম্যহীন। এসকল ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের তথ্য মতে, বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে, বা এ ধরনের খবর কে কেন্দ্র করে প্রতিদিন ৩৯ থেকে ৪২ টা বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা, চলে এসেছে।
আমি হলফ করে বলতে পারি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া, আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে পড়েছে। এখন আমরা পরিবারের সাথে কথা বলতে ততটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করি না। যতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় কাটাতে।
আর তাই আমি মনে করি, সোশ্যাল মিডিয়ার এই অপব্যবহার গুলো, যদি আমরা ধীরে ধীরে আমাদের জীবনে কমিয়ে আনতে পারি।
তাহলেই আমরা আমাদের জীবনের, যেই নিঃসঙ্গতার যে স্থান আছে। সেই স্থান থেকে অনেকটা বেরিয়ে আসতে পারবো। পরিবারকে একটু সময় দিতে পারবো। হাসিখুশি একটা জীবন সবাই অর্জন করতে পারব।
পরিশেষে একটা কথাই বলবো, সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার নিজে করা বন্ধ করুন। এবং নিজের আশেপাশে বন্ধু-বান্ধব সবাইকে অনুরোধ করুন। সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে।
আজ আর লিখছি না, অনেক কথাই হয়তোবা লিখে ফেললাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। এই কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।