কান কথা শোনা বন্ধ করুন আপনার জীবনে সাফল্য আসবে ইনশাল্লাহ
![]() |
---|
আমাদের পারিবারিক জীবনে হোক, আমাদের কর্মক্ষেত্রের জায়গায় হোক। যেখানেই হোক না কেন? আমরা অনেক সময় দেখা যায়, অনেক মানুষের কথার জালে জড়িয়ে পড়ি! তারা এমন ভাবে আমাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করে যে, আমরা যে কোন কাজ করতে বাধ্য হয়ে যাই।
তাদের সাথে কথা বলতে বলতে একটা সময় দেখা যায়! আমরা তাদের সেই কাজ করেও ফেলি! সেই কাজ করার পরে আমরা যখন অনুধাবন করি! আমাদের এই কাজ করা মোটেও ঠিক হয়নি! তখন আমরা নিজেরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারি! তখন ভুল বুঝতে পেরে ও কোন লাভ হয় না! কারণ আমরা আগেই অনেক বড় ভুল করে ফেলি।
আমি একটু চিন্তা করলাম, আমি ভেবে দেখলাম। যারা অন্যের কথায় কান দিয়ে, নিজের পরিবার নিজের প্রিয় মানুষ গুলোর উপর ভরসা বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। তাদের মত মানুষ গুলোর কারণে একটা পরিবার ভাঙতে শুরু করে। একটা সম্পর্ক ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে ভালবাসার দুইটা মানুষ আলাদা হয়ে যায়।
![]() |
---|
যাকে ভালোবাসেন তাকে বিশ্বাস করেন। তার কথাটা অন্তত একটু চিন্তা করে দেখবেন। হ্যাঁ হয়তোবা ওই মানুষটা রাগের মাথায় অনেক কিছুই বলে ফেলেছে। কিন্তু দিনশেষে সে মানুষটা আপনাকেই ভালোবাসে। ভালোবাসার মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তির স্থান দেয়া মানেই হচ্ছে। সে সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যাওয়া।
শুধু একটা ভালোবাসার সম্পর্ক নয়। একটা পরিবার নয়, একটা প্রতিষ্ঠান নয়। অনলাইন জগৎটাও ঠিক তেমন। কিছু মানুষ আসে আমাদের ভালো করার জন্য, আমাদের জীবনে। আবার কিছু মানুষ আছে আমরা যেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। যেখানে অবস্থান করছি। সেই জায়গাটা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
ঠিক তেমনই কিছু মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছিল। যারা কিনা বিভিন্ন কথার মাধ্যমে আমাকে ফাঁসিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল। আমার জায়গা থেকে আমাকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু যখন আমি বুঝতে পারলাম, তারা আমার সাথে এমন কিছু করবে। তখন নিজের জায়গা থেকেই নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। ইনশাল্লাহ আমি তাদের কাছ থেকে, নিজেকে অনেক দূরে সরিয়ে নিয়ে যাব। যাতে করে তারা কখনোই, আমার কোন ক্ষতি করতে না পারে।
একটা প্রতিষ্ঠানে অনেকজন লোক কাজ করত। কিন্তু কোম্পানির মালিকের একমাত্র বিশ্বস্ত ছিল। তার সবচাইতে কাছের মানুষ ছিল তার পিএস। তিনি তাকে অনেক বেশি বিশ্বাস করতেন। নিজের কষ্টের কথা দুঃখের কথা সুখের কথা সবকিছুই ওই মানুষটার সাথে শেয়ার করতেন। আর ওই মানুষটাও তার কোম্পানির কোন দিক ভালো হবে। কি করলে কোম্পানি আরও এগিয়ে যাবে। সব সময় এসব চিন্তা করতেন।
![]() |
---|
কোম্পানিতে যারা আর বাকি লোক কাজ করতো। তারা এ বিষয়টা তেমন ভালোভাবে নিতে পারেনি। কারণ তারা চিন্তা করতে থাকে, আমরাও তো একই সাথে জয়েন করেছে। তাহলে সে কেন আজকে কোম্পানির মালিকের এত বিশ্বস্ত হয়ে গেল। আমরা কেন হতে পারলাম না।
![]() |
---|
এই চিন্তাধারা গুলো মাথায় নিয়ে, তারা কোম্পানির পিএস এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র করা শুরু করল। তাকে কিভাবে কোম্পানি থেকে বের করা যায়। অনেক কিছু করল, কিন্তু দিনশেষে দেখা গেল, তারা কিছুই করে উঠতে পারছিল না।
ঠিক তারপর থেকেই তারা কোম্পানির মালিকের কান ভাঙাতে শুরু করল। তারা কোম্পানির মালিক কে বলল। ওই পিএস নাকি কোম্পানির বিভিন্ন জিনিসপত্র অন্য কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল অন্য কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়। তারপরেও কোম্পানির মালিক চুপচাপ সবকিছু শুনতে থাকলো। কে সৎ ভাবে কাজ করছে, আর কে অসৎ উপায় অবলম্বন করছে। সেই জিনিসটা বের করার চেষ্টা করল।
দিনশেষে দেখা গেল, কোম্পানির অন্যান্য কর্মচারীরা তার পিএস এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। তিনি ঐ সকল মানুষকে কোম্পানি থেকে বের করে দিলেন। যারা কিনা অন্যের ভালো দেখতে পারে না।
![]() |
---|
এরপরে কোম্পানির পিএস নিজের সততা এবং নিজের যোগ্যতা দিয়ে অনেক দূরে এগিয়ে গেল। আলহামদুলিল্লাহ আজকে সেই কোম্পানির পিএস অনেক ভালো অবস্থানে আছে। সব সময় চেষ্টা করে, সবাইকে সাহায্য সহযোগিতা করার। এবং নিজেও ভালো থাকার।
লোকে তো অনেক কথাই বলবে। তাই বলে তাদের কথা শুনে, নিজের জায়গা থেকে সরে যাওয়াটা, বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রত্যেকটা মানুষের উচিত নিজের জায়গা থেকে সৎ ভাবে কাজ করা। কে কি বলল, তাতে কান না দিয়ে। নিজের কাজকে কঠোর পরিশ্রম করার মাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরা।
আমি কে? ক্ষুদ্র একটা মানুষ! কিন্তু মানুষের সাথে আমার পরিচিতি হবে, আমার কাজের মধ্যে। আমি জানিনা আমি সঠিকভাবে কাজ করতে পারি কি পারি না। তবে চেষ্টা করি নিজের জায়গা সৎ থেকে। সব সময় কাজ সম্পন্ন করার, হয়তোবা আমার জীবনেও কোন একদিন সফলতা আসবে। কিন্তু আমি আর কখনোই, কোনো মানুষের কথা শুনতে রাজি নই।
হয়তোবা অনেক কথাই বলে ফেলেছি। অনেক উপদেশ দিয়েও ফেলেছি। তবে আমি আমার জায়গায় সব সময় সৎ থাকার চেষ্টা করব! এবং কান ভাঙ্গান লোকেদের কাছ যাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করব। জীবনে হয়তো বা তারা আমাকে এগিয়ে যেতে দেবে না। কিন্তু আমি তাদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে, আমার জীবনটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।
সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।